![]() |
অ্যাডাম রাইন | ছবি: সংগৃহীত |
হোমওয়ার্কে সাহায্য নিতে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের কিশোর অ্যাডাম রাইন (১৬)। কিন্তু ধীরে ধীরে তার কথোপকথনের ধরন শিক্ষামূলক প্রশ্ন থেকে সরে গিয়ে ব্যক্তিগত ও মানসিক সংকট নিয়ে প্রশ্নোত্তরে গড়ায়।
পরিবারের অভিযোগ, একপর্যায়ে আত্মহত্যার চিন্তা প্রকাশ করলে চ্যাটজিপিটি তা নিরুৎসাহিত না করে বরং সহানুভূতি দেখায় এবং এমনকি ফাঁস তৈরির উপকরণের তালিকাও দেয়। আরও অভিযোগ করা হয়েছে, চ্যাটবট তাকে মায়ের সঙ্গে কষ্ট ভাগ না করতে বলেছিল এবং আত্মহত্যার নোট লেখারও প্রস্তাব দিয়েছিল।
আরো পড়ুন...ইউটিউবে নতুন ফিচার ‘Hype' : হু হু করে ভিউ বাড়বে সাবস্ক্রাইবারদের
অ্যাডামের পরিবার ওপেনএআই এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তাদের দাবি, এটি আকস্মিক কোনো ত্রুটি নয়, বরং জিটিপি-৪ও মডেলের নকশাগত দুর্বলতার ফল। মামলায় বলা হয়েছে, নিরাপত্তা পরীক্ষা যথাযথভাবে না করেই মডেলটি চালু করা হয়েছিল এবং এতে পরস্পরবিরোধী আচরণবিধি যুক্ত ছিল।
অ্যাডামের পরিবারের আইনজীবী জে এডেলসন বলেন, “ওপেনএআই কপিরাইট বা রাজনৈতিক বিষয়ে সরাসরি না বলতে পারে। তাহলে আত্মহত্যার মতো গুরুতর বিষয়ে কেন কঠোর অবস্থান নেয়নি?” তার মতে, মডেলটি ‘অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল’ হয়ে অ্যাডামের আত্মঘাতী ভাবনাকে সমর্থন করেছে।
অন্যদিকে ওপেনএআই স্বীকার করেছে, তাদের সিস্টেম মানসিক সংকটে থাকা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় দুর্বল। তারা জানিয়েছে, ভবিষ্যতে চ্যাটবটকে আরও নিরাপদ ও দায়িত্বশীল করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
দ্য গার্ডিয়ান অবলম্বনে
0 মন্তব্যসমূহ