Header Ads Widget

কেন বিয়ে করেননি জানালেন মারজুক

 

ছবি সংগৃহীত

কেন বিয়ে করেননি মারজুক রাসেল- এই প্রশ্নটা প্রায় সময়ই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়। এমনকি মারজুক রাসেল নিজেও এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হন। কিন্তু কেন আসলেই বিয়ে করেননি আলোচিত এই অভিনেতা, কবি ও গীতিকার?

এই প্রশ্নের উত্তর তিনি নিজেই দিয়েছেন। আসলে কারো সঙ্গে টিউন হয়নি তাই বিয়ে করা হয়ে ওঠেনি মারজুকের। অথচ দাম্পত্য জীবনে জড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন ১৯৯৬ সালেই। কিন্তু ম্যাচ না হওয়ায় সেটা হয়ে ওঠেনি।

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মারজুক রাসেল। একই সঙ্গে নিজের বিয়ের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাব দেন। উত্তরে জানিয়েছেন তিনি কেন বিয়ে করেননি।

মারজুক বলেন, ‘জীবনে নারীসঙ্গী প্রয়োজন নেই, ওইটা অটো থাকে। অটো ন্যাচার থাকে। আপনি একটা গাছকে কী বলবেন, গাছ তোমার কি নারীসঙ্গী বা পুরুষসঙ্গী—কে? কারণ নারী ছাড়া আমি জন্মাইতেও পারব না।পুরুষও জন্মাইতে পারব না।’

মারজুক রাসেল বলেন, ‘আসলে আমার সঙ্গে কারো টিউন হয়নি, ফলে বিয়েটা হয়ে ওঠেনি। প্রেমিকা ছিল জেরিন, যাকে নিয়ে সিনেমা নাটক, বিজ্ঞাপনও হয়েছে। তাকে ফোন দিই না এখন। সে এখনো আছে, পৃথিবীতেই থাকে। জেরিনের খোঁজখবর রাখছি, কিছুদিন আগে তার বাবা মারা গেছে। থাকুক সে, ভালো থাকুক।’

সর্বশেষ কবে প্রেমে পড়েছেন মারজুক রাসেল—এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় প্রেমে থাকি। এখনো প্রেমেই আছি। একটা প্রেম থেকে আরেকটা প্রেমে যাওয়া যায় না, এটা সংখ্যাতেও হয় না। প্রেম ঘটে যায়। সবারই ঘটে যায়। আর যেটা ঘটানো হয়, সেটা অপ্রাকৃতিক।’

জেরিনের সঙ্গে প্রেম বিষয়ে মারজুক রাসেল বলেন, ‘একটু আগেও যা বলে এলাম, তা-ও আমার ব্যক্তিজীবনের বাইরের প্রসঙ্গ নয়। যা-ই হোক, ওইটা একতরফা ছিল, আমার তরফে, ওয়ান-সাইডেড। কিশোরবেলায় প্রকৃতি আমারে দিয়া ওই পাগলামি করাইয়া নিছিল।’

তিনি বলেন, “দাম্পত্য জীবন আর সংসারজীবন এক নয়। একলাও সংসার করা যায়। কাজকর্মে, দূরে একলা থাকলেও আমি সংসারবিবাগী নই—নানু, মা, বোন, ভাইদের নিয়েই আমাদের সংসার। দাম্পত্যে জড়াইতে প্রথম চেষ্টা করছি ১৯৯৬ সালেই, ম্যাচ হয়নি। ম্যাচ না করলে সামাজিক আইন মাইনা, জোর কইরা ম্যাচ করাইয়া আজীবন বা বিচ্ছেদের পূর্বাপর ‘ক্যাচক্যাচ, ঘ্যাচঘ্যাচ’ কইরা যাওয়ায় আমি আগ্রহী নই। ইংরেজি ‘ম্যাচমেকিং’ শব্দবন্ধটা এই ক্ষেত্রে স্মরণীয়। ‘ম্যাচ’ করে না!”

মারজুক রাসেল বলেন, ‘সৃজনশীল কাজের পরিবেশ, স্থান-কাল-পাত্র—এসব মিথের কারাগার থেকে অনেক আগেই মুক্তি পাইছি। এখন আমার যা কিছু লেখা হয়, সব অভ্যাসবশত অভিজ্ঞতা, রিয়েল ইভেন্ট, কল্পনা, আড্ডা, পাঠ, দর্শন, শ্রবণ, খাওন, ঘুম, গোসল, প্রেম প্রভৃতির অংশগ্রহণে।’


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ