![]() |
ছবি:মিরর |
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে বক্তব্য রাখার পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেন। দুই নেতা একই গাড়িতে চড়ে বৈঠকের স্থানে পৌঁছান। বাংলাদেশ সময় সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার কিছু পর শুরু হয় এ বৈঠক।
ভারতের ভূমিকায় পুতিনের স্বীকৃতি
চীনের তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে পুতিন বলেন, “ইউক্রেন সংকট নিরসনে ভারত ও চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আমরা তাদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করি।”
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা পিটার নাভারো দাবি করেছিলেন, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে মস্কো ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারছে। তবে পুতিন এ বক্তব্য নাকচ করে দেন। তার দাবি, ন্যাটো এবং পশ্চিমা বিশ্বের হস্তক্ষেপই দীর্ঘ সাড়ে তিন বছরের এই যুদ্ধের মূল কারণ।
ট্রাম্পের উদ্যোগেরও প্রশংসা
পুতিন শুধু ভারত ও চীন নয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তি উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ১৫ আগস্ট আলাস্কায় রাশিয়া-আমেরিকার বৈঠকে একটি সমঝোতা হয়েছে, যা ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে। যদিও সেই সমঝোতার বিস্তারিত তিনি প্রকাশ করেননি।
ভারসাম্যের বার্তা
বিশ্লেষকদের মতে, একদিকে আমেরিকার অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করে নয়াদিল্লি ও বেইজিংয়ের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং অন্যদিকে ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকেও প্রশংসা করা পুতিন মূলত একটি ভারসাম্যপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন। পশ্চিমাদের সমালোচনার মধ্যেই তার এই বক্তব্য কূটনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ